বুধবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১১

জীবন তরী.........(ক্ষণিকের আগুন্তুক,শশি হিমু,অনন্যা দাস,নওরিন শাহরিয়ার)


কাক ডাকা দুপুরে কিংবা চুপসে যাওয়া বিকেলে
বর্ণীল কালো মেঘে কিংবা দূর পাহড়ের দেশে
সকালের মিস্টি রোদে কিংবা পড়ন্ত বিকালে
নিঝুম রাতে অথবা সপ্ন দেখার শেষে
সন্ধ্যার রক্তিম গোধূলিতে কিংবা নবম কোন প্রহরে
ঝিঝি ডাকা নিঝুম রাতে কিংবা বাতিজ্বালা জোনাকির আলোতে
সাদা শেওলা ধরা চাদের গা বেয়ে ছপছপ করে চুইয়ে পড়া জোছনায়
অথবা কোন এক শুভ্র ভোরে কিংবা শীতের সকালের ধোঁয়াশা কুয়াশায়
জোড়া শালিকের প্রেমের বানে, একলা কাকের কর্কশ কুর্নিশে
দ্বিপ্রহরের পোয়াতি সূর্যের পিঠ ঝলসানো রোদে
একটু শান্তির খোঁজে বটের ছায়ায় কিংবা দৃষ্টি সীমানায় মেঠো পথের মায়ায়
আদ্রতা বিহীন পিচগলা রাস্তায়, ভিমড়ি দেয়া মরীচিকার আশায়
ছন্নছাড়া পায়ে এলোমেলো পথচলায় কিংবা ট্রাফিক সিগন্যালে সতর্কতায়
তোমায় ভেবে ভেবে
জীবন তরীর খেয়াই চেপে
যাচ্ছি আমি ভেসে ভেসে
যতদুর যাই তুমি রয়ে যাবে চেতনায়
শেষ হোক নাই হোক
শেষের সম্ভাবনায়,পুর্ন করো
তুমি এসে অপুর্নতার শেষে
আগলে ধরো হাত দুটি মোর,
হারাতে চাই তোমার চোখে...
মিছে সপ্নের জালগুলো আজ
কেন যেন সত্য লাগে...
কর্দমাক্ত মাটির মাঝে
স্বচ্ছ বালির খেলা ঘড়ে
ভুঙ্গুর ইচ্ছেগুলো মোর
হাতছানি দিয়ে-ডাকে
অতৃপ্ত আত্তার রোদনে
ঝিকমিকিয়ে বালি হাসে........
শীৎকার করে ফেলা পা মোর
হকচকিয়ে চমকে উঠে...
উপাড় হতে নিরুদ্দেশে
হুমড়ি খেয়ে স্তব্ধ শেষে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন