শনিবার, ১৮ জুন, ২০১১

জোছনাস্নাত বরষা.............(আবির + ক্ষণিকের আগুন্তক)

   
                                                

রিম ঝিম বৃষ্টি
আচমকা দখিনা হাওয়ায়
এলোমেলো আমি।
চেনা জলকণার অচেনা পরশে,
অশান্ত বরষে,
নিশ্চুপ একা থামি।।

অসীম ভেসে চলা মেঘ,
চাঁদ ডুবে যায়,
অশান্ত এ মন।
নির্বাক জলের ফাঁকে,
স্মৃতিরা ভেলা হয়ে
আনকা পবন।।

তবুও থামি না আমি-
হেঁটে যাই বহুদূর;
স্মৃতির ভেলায় চরে, বিলাসী আমি
গেয়ে যাই-
চিরচেনা সেই সুর।।

ধু ধু বালুচর সুরের মায়ায়-
কাশফুলময়,
শরতের আগেই বর্ষাস্নাত।
অশ্রুবিন্দু বৃষ্টি ধারায়,
মিশে একাকার, হৃদয় ঘুড়ি
ক্রন্দনরত অব্যাহত।।

রাত বয়ে যায়, বৃষ্টি থামে
মেঘের ফাঁকে,
আলতো হাসে জোছনার ফুল।
চোখের তারায় ঘুম নামে না
সুর থামে না,
ইচ্ছেগুলো দখিন হাওয়ায় ছিন্নমূল।।

রাত্রি শেষে, নির্জন কোনে
নতুন স্বপ্নের দৃশ্য বুনে,
আবার জ্বালি আলো;
হয়তো কোন দিনের শেষে,
সেই আলোটাই,
সরিয়ে দিবে কালো।।

সেই আশায় আজ বুক বাঁধা
সকাল হলেই, দুয়ার পানে
ফেলফেলিয়ে তাকিয়ে থাকা,
পথও মাঝে তোমায় খোঁজা-
আসবে হয়ত আমার পানে
ভাসিয়ে দেবে নতুন গানে....